ইমরান আল মাহমুদ:
সম্প্রতি সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় মোখা’র ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আগেভাগে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে উখিয়া উপজেলা প্রশাসন। খুবই ঝুকিপূর্ণ এলাকার তালিকায় কক্সবাজার জেলার নাম রয়েছে।
তবে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও স্ব স্ব উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, উখিয়া উপজেলার জন্য ৫ মেট্রিক টন চাল এ ১লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। তবে শুধুমাত্র ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের মাঝে এ সহায়তা বিতরণের নির্দেশ প্রদান করা হয়।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প,পাহাড়ধ্বস ও উপকূলীয় এলাকায় মানুষের জানমাল রক্ষায় সচেতনতামূলক মাইকিং করে আসছে উপজেলা প্রশাসন। এর আগে গত মঙ্গলবার প্রস্তুতিমূলক বৈঠকের মাধ্যমে কন্ট্রোল রুম চালু সহ যেসব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, পাঁচ ইউনিয়নে পাঁচজন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা ঠিক করণ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার,উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি), উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, অফিসার ইনচার্জ, সিপিপি উপজেলা টিম লিডার, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও প. প কর্মকর্তা সহ উল্লেখিত সকলের ফোন নং জরুরী কন্ট্রোল রুম হিসেবে যোগাযোগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলায় বৈদ্যুতিক খুঁটি সহ যেকোনো ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কন্ট্রোল রুম চালু করেছে পল্লী বিদ্যুৎ উখিয়া জোনাল অফিস। সবমিলিয়ে সবাইকে আগাম সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়।
ঘূর্ণিঝড় মোখা’র পূর্ব প্রস্তুতি বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসাইন সজীব বলেন,” উখিয়া উপজেলা রোহিঙ্গা অধ্যুষিত,পাহাড়ধ্বস প্রবণ ও উপকূলীয় সমুদ্রঘেষা একটি উপজেলা। তাই ঝুঁকিপূর্ণ সব এলাকা চিহ্নিত করে আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। জরুরী কন্ট্রোল রুম চালু,মাইকিং করে পাঁচ ইউনিয়নে সচেতনতাকরণ, পাহাড়ে বসবাসরতদের সতর্কবার্তা প্রদান করা হচ্ছে। উপজেলায় ৪৬টি সাইক্লোন শেল্টার,৬ টি মেডিকেল টিম,৫টি রেসপন্স টিম,৫টি এ্যাম্বুলেন্স,৬টি জরুরী পরিবহন,৫টি স্ট্রেচার,২৫ টি সিপিপি ইউনিট, ৫শ জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক, ৫০জন রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবক,বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার ৭০জন কর্মী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তাছাড়া ৭টি উপজেলা সমন্বয় টিম কাজ করবে। আশ্রয়কেন্দ্রের সব চাবি স্ব স্ব কেন্দ্রের কর্মীকে সংরক্ষণ করে প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।”
ইউএনও আরও বলেন,”উপজেলা কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত ৭টি টিমের প্রতিটিতে ২জন করে সদস্য করা হয়েছে। তার মধ্যে জালিয়াপালংয়ে ২টি টিম এবং অন্যান্য ইউনিয়নে প্রয়োজন অনুযায়ী ট্যাগ করা হবে। তারা ৬ নং বিপদ সংকেতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। আসুন ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সবাইকে উপজেলা প্রশাসনের সকল বার্তা মেনে চলি। পাশাপাশি দুর্যোগ চলাকালীন যেকোনো সমস্যা উপজেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমে তাৎক্ষণিক জানানোর অনুরোধ করছি।”
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-